
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সীমাহীন অনিয়মের অভিযোগ দিতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) এসেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এ সময় ইসিকে স্মারকলিপি দেয়ার কথা রয়েছে ঐক্যফ্রন্টের।
৩ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে পৌঁছেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
প্রতিনিধি দলে রয়েছেন- ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ড. আব্দুল মঈন খান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু।
এর আগে ২ জানুয়ারি (বুধবার) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা ও ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদকে বিষয়টি অবহিত করে এই জোট। ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে ইসিকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছিল, গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সীমাহীন অনিয়ম, কারচুপি, গ্রেফতার, ভয়ভীতি দেখানো, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস, প্রার্থীদের আটক ও প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়ে নির্বাচনী এলাকাভিত্তিক তথ্য-উপাত্তসহ একটি স্মারকলিপি দাখিলের জন্য জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থীরা একযোগে ৩ জানুয়ারি বিকেল ৩টায় নির্বাচন কমিশনে উপস্থিত হবেন।
ঐক্যফ্রন্টের যারা নির্বাচিত হয়েছেন তাদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ফ্রন্টের সিনিয়র নেতারা সিদ্ধান্ত নেবেন।
বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মাহবুবুর রহমান, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম খানি উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বৈঠকে ১৭৪ জন প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এর মধ্যে বিজয়ী পাঁচজন প্রার্থীও উপস্থিত ছিলেন। মির্জা ফখরুল ছাড়া বাকিরা হলেন হারুনুর রশীদ. আমিনুল ইসলাম, মোশারররফ হোসেন ও জাহিদুর রহমান।
প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, বিএনপির আবদুল্লাহ আল নোমান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, হাফিজউদ্দিন আহমেদ, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, জয়নাল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধরী, শাহজাহান ওমর, মিজানুর রহমান মিনু, আমিনুল হক, আবদুস সালাম, শাহজাহান মিয়া, ভিপি জয়নাল আবেদীন, হারুনুর রশীদ, আসাদুল হাবিব দুলু, আনোয়ারুল আজীম, শামা ওবায়েদ, জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, গৌতম চক্রবর্তী, আলমগীর কবির, দেওয়ান মো. সালাহউদ্দিন, নাজিম উদ্দিন আলম, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, সুলতান মাহমুদ বাবু, রফিকুল ইসলাম হিলালী, শরীফুল আলম, জালাল উদ্দিন, আজিজুল বারী হেলাল, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, জিএম সিরাজ, সাখাওয়াত হোসেন বকুল, জহিরউদ্দিন স্বপন, মফিকুল হাসান তৃপ্তি, অনিন্দ ইসলাম অমিত, জাহিদুর রহমান, মাসুদ অরুন, সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিকী, নবী উল্লাহ নবী, মোরশেদ মিল্টন, পারভেজ আরেফীন সিদ্দিকী, রুমানা মাহমুদ, আমিনুল ইসলাম আলিম, সেলিম রেজা হাবিব, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, সৈয়দ মেহেদি আহমেদ রুমি, সৈয়দ ফয়সল আহমেদ চৌধুরী, মিজানুর রহমান, জি কে গউস, আবু তাদের তালকুদার, কায়সার কামাল, আনোয়ারুল হক, তাহসিনা রুশদির লুনা, লুতফর রহমান কাজল, মুন্সি রফিকুল আলম, খন্দকার মুক্তাদির, মোশাররফ হোসেন, শফি আহমেদ চৌধুরী, এবিএম মোশাররফ হোসেন, আসাদুজ্জামান, শাহ রিয়াজুল ইসলাম, একরামুজ্জামান, আবু সুফিয়ান, মিল্টন বৌদ্ধ, আনিসুর রহমান খোকন, শাহ আবু জাফর, খোন্দকার আখতার হামিদ ডাবলু, মো. মোশাররফ হোসেন, মো. আলী সরকার, তাজভীরুল ইসলাম, টিএস আইয়ুব, সাইফুর রহমান রানা, মো. হানিফ, আনোয়ারুল ইসলাম, আলী নেওয়াজ খৈয়াম, এমদাদুল হক ভরসা, সাহাদাত হেসেন, মাসুদা মোমিন, সালমা আলম, রফিকুল ইসলাম, সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা, সালাহ উদ্দিন সরকার, কাজী নাজমুল হোসেন, শাহ শহীদ সারোয়ার, আবদুল খালেক, মজিবুল হক, মো. ইউনুস, ফাহিম চৌধুরী, শামীম আরা বেগম, আহসান উল্লাহ হাসান, নসরুল হক সাবু, ওয়ারেস আলী মামুন, আজহারুল ইসলাম মান্নান, লায়ন হারুনুর রশীদ, আমিনুল ইসলাম, মনি স্বপন দেওয়ান, কনক চাঁপা, সাচিং প্রু, ফরহাদ হোসেন, আজাদ, ফজলুর রহমান, আবু ওহাব আখন্দ, মাহমুদুল হক রুবেল প্রমখ।
এছাড়াও জিএসডির আসম আবদুর রব, আবদুল মালেক রতন, শহীদউদ্দিন মাহমুদ, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, ইকবাল সিদ্দিকী, গণফোরামে সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টু, আমসা আমিন, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, খেলাফত মজলিশের আহমেদ আবদুল কাদের, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনডিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ।
গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ঐক্যফ্রন্ট পেয়েছে ৭টি (বিএনপি ৫টি এবং গণফোরাম ২টি) আসন।
আপনার মতামত লিখুন :
[প্রিয় পাঠক, আপনিও এফ টিভি নিউজ অনলাইনের অংশ হয়ে উঠুন। লাইফস্টাইলবিষয়ক ফ্যাশন, স্বাস্থ্য, ভ্রমণ, নারী, ক্যারিয়ার, পরামর্শ, রাজনীতি, খাবার, রূপচর্চা ও ঘরোয়া টিপস নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুন-ftvnewsbd@gmail.com-এ ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।]
Recent Post