
কাঁচামরিচ তাড়াতাড়ি খাবার হজম করতে সহায়তা করে।
রান্নাবান্নায় দেদার ব্যবহৃত হয় কাঁচা মরিচ। এটি খাবারের স্বাদ বাড়ায় এবং সুগন্ধ যোগ করে। কাঁচা মরিচ পাকলে তা শুকিয়ে গুঁড়া করে মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে ঝাল খেতে যাঁরা পছন্দ করেন, তাঁদের কাছে এই মসলার বিশেষ কদর রয়েছে। তবে শুকনো মরিচ বা মসলার চেয়ে কাঁচা মরিচই বেশি গুণের। কাঁচা মরিচের বিশেষ পাঁচ গুণ নিয়ে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জিনিউজ।
১. কাঁচা মরিচে প্রচুর ডায়াটারি ফাইবার রয়েছে, যা সুস্থ পরিপাকতন্ত্রের জন্য খুব দরকারি।
২. প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকায় এটি চোখ ও ত্বকের জন্য ভালো।
৩. কাঁচা মরিচে যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে, যা শরীরে মুক্ত মৌলগুলোর বিরুদ্ধে লড়তে পারে। ফলে শরীরে সহজে রোগব্যাধি হয় না।
৪. কাঁচা মরিচে ভরপুর ভিটামিন সি থাকে। শরীরে অন্যান্য ভিটামিন শোষণেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৫. অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণের কারণে শরীরে এটি ব্যাকটেরিয়া ঘেঁষতে দেয় না এবং শরীরকে জীবাণুমুক্ত রাখে।

কাঁচামরিচ ফ্যাট কমাতে কাজ করে। যার ফলে যারা অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগছেন তারা কাঁচামরিচ খেতে চেষ্টা করুন।
ঝাল খাবার দেখলে জিভে জল আসে অনেকেরই। বাঙালির প্রিয় খাবারের তালিকায় এক নম্বরে রয়েছে ঝাল জাতীয় খাবার। ভর্তা, ভাজা, চটপটি, ফুসকা- কোথায় নেই ঝাল। আর এসবকিছুর উৎস হলো মরিচ। কাঁচা মরিচ খেতে ঝাল লাগলেও এর উপকারিতা কিন্তু বেশ মিষ্টি।
কাঁচামরিচ খাওয়ার তিন ঘণ্টার মধ্যেই আপনার শরীরের মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায়। কাঁচামরিচ শরীরের মেটাবলিজম ক্ষমতা ৫০% বেশি বৃদ্ধি করতে সক্ষম।
কাঁচামরিচে আছে অ্যান্টি অক্সিডিয়েন্ট যা ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। ক্যান্সারের সাথে লড়াই করতে পারে কাঁচামরিচে উপস্থিত অ্যান্টি অক্সিডিয়েন্ট।
কাঁচামরিচ রক্তের কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণে রাখে। যার ফলে হার্ট এ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
সাইনাসের সমস্যা, মাথাব্যথা, বা ঠান্ডা লাগা সারাতে জুড়ি নেই কাঁচামরিচের।
যারা অতিমাত্রায় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগছেন তারা কাঁচামরিচ খেলে গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এই ঝাল খেলে আপনার কোনো ক্ষতি হবে না। কারণ কাঁচামরিচের ঝাল ব্যাথা সারাতে দারুণ কাজ করে।
কাঁচামরিচে আছে ভিটামিন সি ও বিটা ক্যারোটিন যা চোখের জন্য ভালো। কাঁচামরিচের ভিটামিন টিকিয়ে রাখতে এই মরিচ তুলনামূলক অন্ধকার স্থানে রাখুন। কারণ উজ্জল আলো, বাতাস কাঁচামরিচের ভিটামিন সি নষ্ট করে দিতে পারে।
অবসাদ কাটাতে ও ইমিউনিটি সিস্টেম ভালো রাখতেও বেশ কাজের জিনিস কাঁচামরিচ।
কাঁচামরিচে প্রচুর পরিমাণ আয়রন আছে যা আপনাকে রক্ত শূন্যতা থেকে মুক্তি দেবে। এ্যানিমিয়ার রোগীরা বেশি করে এই মরিচ খেতে পারেন।
এই মরিচে উপস্থিত ভিটামিন “কে” অধিক রক্তক্ষরণ থেকে রক্ষা করে। যার ফলে কোনোভাবে আপনি আঘাতপ্রাপ্ত হলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হবে না।
এই মরিচে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে যার ফলে এটি ত্বকের জন্য ভালো। এই মরিচ ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি করবে এবং আপনাকে স্কিন ইনফেকশনের হাত থেকে রেহাই দেবে।
রক্তে সুগারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখবে কাঁচামরিচ এ কারণে ডায়েবেটিকস রোগীরাও প্রতিদিন অন্তত একটি করে কাঁচামরিচ খাওয়ার চেষ্টা করুন।
আপনার মতামত লিখুন :
কাঁচামরিচে মরিচে
[প্রিয় পাঠক, আপনিও এফ টিভি নিউজ অনলাইনের অংশ হয়ে উঠুন। লাইফস্টাইলবিষয়ক ফ্যাশন, স্বাস্থ্য, ভ্রমণ, নারী, ক্যারিয়ার, পরামর্শ, রাজনীতি, খাবার, রূপচর্চা ও ঘরোয়া টিপস নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুন-ftvnewsbd@gmail.com-এ ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।]
Recent Post