
তারা সাদা, কালো, বাদামী, এরাবিয়ান, মুসলিম, আফ্রিকান যেকোন কিছু হতে পারে। কোনো সমস্যা নেই, যতক্ষণ তারা ফ্রান্সের হয়ে ভালো খেলে আরকি! এমনই চিন্তাভাবনা অধিকাংশ ফরাসী সিটিজেনের। বিশ্বকাপ শুরুর আগে ফ্রান্স দলে এই বহুজাতিত্ত্বের বিপক্ষে সমালোচনায় মুখর ছিলেন সাবেক তারকা খেলোয়াড় থেকে শুরু করে ফ্রান্সের সাদা চামড়ার অধিকাংশ মানুষ।
কিন্তু রাশিয়া বিশ্বকাপে এই আফ্রিকান এরাবিয়ান বংশোদ্ভূত খেলোয়াড়দের নিয়েই বাজিমাত করেছে ফ্রান্স। যার ফলে ’৯৮ সালের সেই জিদান বাহিনীর ইতিহাস গড়ার পর আবারো স্বপ্ন বুনতে শুরু করছে ফরাসীরা। অধরা শিরোপা থেকে যে তারা মাত্র একটি ধাপ দূরে।
কে নেই ফ্রান্সের এই আফ্রিকান-এরাবিয়ান লিস্টে? পল পগবা থেকে শুরু করে হালের ওসমান ডেম্বেলে! ২৩ সদস্যের ফ্রান্স স্কোয়াডে ১৫ জনই আফ্রিকান, এরাবিয়ান বংশোদ্ভূত। পল পগবার পরিবার আফ্রিকান দেশ গিনি’র বংশোদ্ভূত হলেও পগবা খেলছেন ফ্রান্সের হয়ে। তেমনিভাবে জিব্রিল সিদিবে, এন’গোলো কান্তে বা বার্সেলোনা সেনসেশন ওসমান ডেম্বেলে খেলতে পারতেন আরেক আফ্রিকান দেশ মালির হয়ে।
কিন্তু পগবার মতো এই তিনজন মুসলিম ফুটবলারও আজ ফ্রান্সের প্রতিনিধি হয়েছেন। আলজেরিয়ান বংশোদ্ভূত নাবিল ফেকির, মরক্কো অরিজিন আদিল রামি, সেনেগালিজ বেঞ্জামিন মেন্ডি ফ্রান্স দলের বাকি তিনজন মুসলিম ফুটবলার। এই সাতজন ইসলাম ধর্মানুসারী ছাড়াও আরও একজন আছেন যাকে বলা হয় অর্ধেক মুসলিম। যিনি কিনা এবারের আসরের গোল্ডেন বল পাওয়ার অন্যতম দাবিদার। নাম তার কিলিয়ান এম্বাপ্পে!
কিন্তু অবাক করার মত হলেও সত্য যে, আসছে বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচে ওঠা দেশ ফ্রান্সের ফুটবল দলে কমপক্ষে সাতজন মুসলিম খেলোয়াড় খেলছেন। যা মুসলমান বিশ্বের জন্য অনেক খুশির খবর নিঃসন্দেহে।
ফ্রান্সের মুসলিম ফুটবলারদের মধ্যে আছেন, আদিল রমি, দজিব্রিল সিদেবে, বেঞ্জামিন মেন্ডি, পল পগবা, গল কান্তে, নাবিল ফকির, উসমানী ডেম্বেলে। এরা সবাই ফ্রান্সের বিশ্বকাপ ফুটবলের তালিকায় আছেন।
আপনার মতামত লিখুন :
[প্রিয় পাঠক, আপনিও এফ টিভি নিউজ অনলাইনের অংশ হয়ে উঠুন। লাইফস্টাইলবিষয়ক ফ্যাশন, স্বাস্থ্য, ভ্রমণ, নারী, ক্যারিয়ার, পরামর্শ, রাজনীতি, খাবার, রূপচর্চা ও ঘরোয়া টিপস নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুন-ftvnewsbd@gmail.com-এ ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।]
Recent Post